Featured

প্রত্যাখ্যান করলেন পুরস্কার জনপ্রিয় অভিনেতা মুশাররফ করিম

কৌতুক অভিনেতা হিসেবে পুরস্কার দেয়ায় তা প্রত্যাখ্যান করেছেন দেশের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেতা
মুশাররফ করিম।
শনিবার সন্ধ্যায় নিজের ফেসবুক পেজে এ নিয়ে স্ট্যাটাস দিয়েছেন মোশাররফ করিম। সেখানে তিনি লিখেছেন, সকলের সদয় অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে, গত ৭ নভেম্বর দেশের চলচ্চিত্র অঙ্গনের সবচেয়ে বড় পুরস্কার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে। ২০১৮ সালের পুরস্কার প্রাপ্তদের তালিকায় আমি নিজের নামও দেখতে পেয়েছি। নুর ইমরান মিঠু পরিচালিত 'কমলা রকেট' চলচ্চিত্রের জন্য আমাকে ‘শ্রেষ্ঠ অভিনেতা কৌতুক চরিত্রে’ পুরস্কার প্রদান করা হয়েছে। ধন্যবাদ সংশ্লিষ্টদের।

কিন্তু এই পুরস্কার প্রাপ্তি নিয়ে আমার কিছু কথা রয়েছে। তার আগে সবাইকে অবগত করতে চাই, কৌতুকপূর্ণ বা কমেডি চরিত্র আমার কাছে অন্যসব চরিত্রের মতোই সমান গুরুত্বপূর্ণ।
কিন্তু 'কমলা রকেট' চলচ্চিত্রে আমি যে চরিত্রটিতে অভিনয় করেছি সেটি কোনোভাবেই কমেডি বা কৌতুক চরিত্র নয়। ছবিটির চিত্রনাট্যকার, পরিচালকসহ সহশিল্পীরা নিশ্চয় অবগত আছেন। একই সঙ্গে যারা ছবিটি দেখেছেন তারাও নিশ্চয় উপলব্ধি করেছেন 'কমলা রকেট' এ আমার অভিনয় করা ‘মফিজুর’ চরিত্রটি কোনো কৌতুক চরিত্র নয়। এটি প্রধান চরিত্রগুলির একটি।
তাই, সন্মানিত জুরি বোর্ডের কাছে আমার অনুরোধ, 'শ্রেষ্ঠ অভিনেতা কৌতুক চরিত্রে' আমার জন্য বরাদ্দ করা পুরস্কারটা প্রত্যাহার করে নিলে ভালো হয়। না হলে আমার পক্ষে এই পুরস্কার গ্রহণ করা সম্ভব নয়। আমি কাজটাকে ভালোবেসে আমৃত্যু কাজ করে যেতে চাই। আমার ভক্ত, শুভাকাঙ্খিসহ সকলের কাছে আমার ও আমার পরিবারের জন্য দোয়া চাই। একই সঙ্গে যারা পুরস্কার পেয়েছেন সবাইকে অভিনন্দন জানাই।’
মোশাররফ করিম বলেন, এই মুহূর্তে আমি ব্যক্তিগত কাজে দেশের বাইরে অবস্থান করছি। তাই লিখিতভাবে সবাইকে জানানো হলো। আশা করছি পরিস্থিতিটি বুঝতে পেরে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
ডিএস/এএইচ

শাকিব খানকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা

বাংলা চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় নায়ক শাকিব খানকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করেছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) এর ভ্রাম্যমান আদালত।রাজধানীর নিকেতনে নকশা না মেনে বাড়ি নির্মাণ করায় এই জরিমানা করা হয়েছে বলে জানা গেছে।রাজউকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আশরাফ হোসেন সোমবার (১৮ নভেম্বর) দুপুরে শাকিব খান রানাকে এই জরিমানা করেন।
জানা গেছে, সকাল থেকে রাজধানী নিকেতন এলাকায় অভিযান চালাচ্ছে রাজউকের ভ্রাম্যমাণ আদালত।
সোমবার (১৮ নভেম্বর) রাজউকের এ অভিযান শুরু হয়। রাজউকের অভিযানকালে ওই বাড়িতে উপস্থিত ছিলেন শাকিব খানের ভগ্নিপতি ও বাড়িটির কেয়ারটেকার। ভ্রাম্যমাণ আদালতের কাছে বাড়িটির কাগজপত্র দেখাতে আসলে সেখানে অসংলগ্নতা ধরা পড়ে।
ঘটনাস্থলেই শাকিব খানকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করেন (অনাদায়ে এক বছরের জেল) ভ্রাম্যমাণ আদালত। শাকিব খানকে জরিমানার তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন রাজউকের জোন (৪) অথরাইজ অফিসার মোহাম্মদ হোসেন।
মোহাম্মদ হোসেন বলেন, সকাল থেকে নিকেতন এলাকায় রাজউকের ভ্রাম্যমাণ আদালত নিকেতন এলাকায় অভিযান চালাচ্ছে। অভিযানের সময় শাকিব খানের বাড়িটি নকশা না মেনে নির্মিত হওয়ায় ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
ডিএস/এএইচ

শুরু হয়েছে রোবট যুগ


রোবট যুগ শুরু হয়েছে। আর সেক্ষেত্রে বিপ্লবটি হবে  ‘রোবটিক বিপ্লব।’ তবে গবেষকরা মনে করছেন, সাধারণের ধারণামতো রোবটিক বিপ্লব হবে না। এক্ষেত্রে বিষয়টি কিছুটা ভিন্ন হবে। সাধারণত আমরা রোবট বিষয়ে যেমনটা ধারণা করি যে, মানুষ কিংবা বড় খেলনার আকৃতির রোবট, বাস্তবতা তেমন হবে না। এক্ষেত্রে রোবট বলতে কোন আকৃতির যন্ত্রমানব দিয়ে যে পৃথিবী ছেয়ে যাবে, এমনটা মানতে নারাজ বিশ্লেষকরা। তারা বলছেন, বিষয়টি কিছুটা ভিন্ন হবে। এক্ষেত্রে প্লাস্টিকের পুতুলের মতো রোবট যে আপনার চারপাশে ঘুরঘুর করবে, এমনটা মনে করছেন না বিশ্লেষকরা। তবে আপনার চারপাশে অসংখ্য স্বয়ংক্রিয় যন্ত্রপাতি কাজ করবে, যেগুলোর কার্যক্ষমতা আপনার জীবনকে সহজ করে দেবে। এসব উন্নত বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন যন্ত্রপাতিকেই রোবট বলছেন তারা।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দিয়ে বিষয়টিকে অনেকে সংজ্ঞায়িত করতে চাইছেন। এটি অনেকটা বুদ্ধিমান যন্ত্রপাতির মাঝে বাস করার মতো। অসংখ্য বুদ্ধিমান ও স্বয়ংক্রিয় যন্ত্রপাতির একটি জোয়ার আসতে যাচ্ছে শীঘ্রই। আর এ জোয়ারে গা ভাসানোর জন্য এখন প্রস্তুতি নিচ্ছে বিশ্বের সব বড় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো। বিশ্বখ্যাত প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের সাধ্যমতো স্মার্ট ডিভাইস তৈরিতে মনোযোগী হয়েছে। তারা চাইছে যেভাবে সম্ভব এ রোবট যুগে নিজেদের উদ্ভাবনী ক্ষমতা মেলে ধরতে। প্রযুক্তি বিশ্বের বর্তমান ধারায় দেখা যায়, প্রতি ১০ থেকে ১৫ বছর পর পর একটি নতুন ধারা যুক্ত হচ্ছে। এ ধারায় ছিল পিসি বা পার্সোনাল কম্পিউটারের বিপ্লব, ইন্টারনেট বিপ্লব ও মোবাইল ফোন বিপ্লব। এবার সে সব বিপ্লবকে পেছনে ফেলে নতুন বিপ্লবের সময় এসেছে।
সম্প্রতি বাংলাদেশে রোবট সোফিয়াকে ঘিরে তৈরী হয়েছে বিশেষ আগ্রহ-উদ্দীপনা। গত ৬ ডিসেম্বর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ডিজিটাল মেলায় রোবট সোফিয়াকে উপস্থাপন করা হয়। এর পেছনে খরচ হয়েছে ১৬ কোটি টাকা। এনেিয় সমালোচনার ঝড় উঠলেও দল বেধে হাজার হাজার প্রযুক্তিপ্রেমী সোফিয়ার সঙ্গ পাওয়ার আসায় ভিড় জমান ডিজিটাল মেলায়। স্থান সংকুলান না হওয়ায় অনেকেই সোফিয়াকে চাক্ষুষ দেখতে পারেনি। ফলে কিছুটা অপ্রীতিকর অবস্থা তৈরি হয়েছিল। কিন্তু যারা রোবটটির কথা কাছ থেকে শুনতে পেরিছিলেন তারা যারপরনাই খুশি হয়েছেন। কেননা, তারা এই ধরণের রোবট এর আগে দেখার সুযোগ পাননি। রোবট সোফিয়ার সঙ্গে ছিলেন তার উদ্ভাবক ডেভিড হ্যানসনও। রোবটটি বাংলাদেশের জামদানির প্রশংসা করে। এছাড়াও সে বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের আগ্রগতির কথাও সমাগত সামনে উপস্থাপন করে। ডেভিড হ্যানসন বলেন ‘আপনারা চাইলে সোফিয়ার মতো সটওয়্যার ব্যবহার করতে পারেন। সোফিয়ার মতো রোবটও বানাতে পারেন।’ ডেভিড বলেন, ‘আমি ছোটবেলা থেকেই রোবট বানানোর স্বপ্ন দেখতাম। আমি ৩০ বছর আগে প্রথম রোবট বানিয়েছিলাম। আমার দীর্ঘদিনের স্বপ্ন ও সাধনার ফল সোফিয়া।’
সত্যজিৎ এর ছোট গল্প অনুকূল লেখা হয়েছিল অনেক বছর আগে। তখনই কলকাতার এক লোক একটি প্রাইভেট এজেন্সি থেকে তার ঘরের কাজ করার জন্য এনেছিলেন কাজ করার রোবট। তারপর কত কিছু ঘটল সেই অনুকূলকে নিয়ে। কলকাতায় এই গল্পটিকে ছায়া হিসেবে নিয়ে তৈরি করা হয়েছে একটি শল্পদৈর্ঘ্য ছবি। কিন্তু তখন খুব অবাক হলেও এখনকার জীবনে রোবটের এই বিপ্লবটা অনেকটা স্বাভাবিক হয়ে পড়ছে। বরং অনেকে অপেক্ষা করে তাকিয়ে থাকে খবরের পাতার দিকে আর কোন খবর আসবে কিনা। বর্তমানে যেসব প্রযুক্তির উন্নয়ন হলেই রোবট বিপ্লব হবে তার একটি তালিকা করছেন গবেষকরা। এতে দেখা যায় কয়েকটি প্রযুক্তির কাজ অনেকদূর এগিয়ে গেছে। এ প্রযুক্তিগুলো সহজলভ্য হলেই তা নতুন বিপ্লবের দ্বার উন্মুক্ত করবে। এ ছাড়া রয়েছে প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ও মানুষের প্রস্তুতি। এক দৃষ্টিতে রোবট বিপ্লব কাছে আনার লক্ষণগুলো হলো নিম্নরূপ।
হার্ডওয়্যার: নানা ধরনের সেন্সর ও অন্য সংবেদনশীল যন্ত্রপাতিগুলো সহজলভ্য হয়ে উঠছে। মোবাইল ফোনের সেন্সরগুলোই পরবর্তীতে রোবট বিপ্লবে কাজে লাগবে। এ ছাড়া রয়েছে ব্লুটুথ, উচ্চগতির ওয়াইফাই, কম্পিউটার চিফ ইত্যাদির সহজলভ্যতা।
সফটওয়্যার: প্রত্যেক বড় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান এখন রোবট বিপ্লবের জন্য প্রস্তুত। তাদের অনেকেই ভার্চুয়াল এ্যাসিস্ট্যান্ট, আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইত্যাদি নিয়ে কাজ করছে। তৈরি হচ্ছে বিভিন্ন উন্নতমানের সফটওয়্যার, যা এই রোবটিক বিপ্লবেরই পদধ্বনি শোনাচ্ছে। মাইক্রোসফট কর্টানা, গুগল নাউ, এ্যাপল সিরি, এ্যামাজন ইকো ইত্যাদির পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকেও যোগ হচ্ছে অত্যাধুনিক নানা ফিচার। আইবিএমসহ বড় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো এক্ষেত্রে বড় অঙ্কের অর্থ বিনিয়োগ করছে।
অন্য একটি বিষয় হলো মানুষ এ রোবট যুগকে গ্রহণ করার জন্য প্রস্তুত কি না। গবেষকরা বলছেন, মানুষ এখন আগের যে কোন সময়ের তুলনায় ব্যস্ত হয়ে প্রড়ছে। আর এতেই মানুষের এ রোবটিক যুগের জন্য প্রস্তুত বিষয়টি অনুমান করা যায়। কারণ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের মাধ্যমে এখন আগের তুলনায় মানুষ পরিবর্তিত হয়েছে। তাই গবেষকরা মনে করছেন মানুষ এখন রোবট বিপ্লবের জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করছে। অতীতে যে যন্ত্রপাতিগুলো খুব দামী ছিল, এখন তা কম দামেই পাওয়া যাচ্ছে। আর এ কারণে প্রযুক্তি মানুষের হাতের নাগালে চলে এসেছে। এগুলো এখন অনেকের কাছেই একঘেয়ে বিষয়। এখন সময় হয়েছে নতুন ধরনের প্রযুক্তিপণ্য দিয়ে এ চাহিদা পূরণ করার। আর এ চাহিদাই নিয়ে আসবে নতুন বিপ্লবের।
জার্মানির বোখুম শহরের হাসপাতালে রোবট একজন কর্মী। সার্জন কম্পিউটারে দাঁড়িয়ে রোবট চালাচ্ছেন, রোবট পেশেন্টের শরীরে অপারেশন করছে। রোবট পেশেন্টদের খাবার নিয়ে আসছে, পেশেন্টের জ্বর মাপা হলে, তা লিখে রাখছে। দুই ঘণ্টা ধরে অপারেশন চলছে, সার্জনরা অপারেশন টেবিলের পাশে দাঁড়িয়ে। পেশেন্টের অন্ত্রনালীর ক্যান্সার। করে আরও চার ঘণ্টা অপারেশন চলবে। বেশিও লাগতে পারে। সিস্টার আর ডাক্তাররা ছড়া বোখুমের আউগুস্টা হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটারে একটি রোবটও আছে। তার নাম দ্য ভিঞ্চি। সে যে কোন মানুষের চেয়ে নিখুঁতভাবে স্কাল্পেল ইত্যাদি ব্যবহার করতে পারে। চীফ সার্জন বেনো মান রোবটটিকে চালান। তার প্রতিটি নড়াচড়া পেশেন্টের শরীরের ভেতর রোবটের ‘হাতগুলোর’ নড়াচড়ায় পরিবর্তিত হয়, এক মিলিমিটার হেরফের হয় না। এ ছাড়া রোবট ক্লান্তি বলে কিছু জানে না। ড. মান বলেন, ‘অপারেটর সব সময় আমি। রোবট আমার কাজটা সহজ করে দেয়, আমি যা করতে চাই, রোবট তা পেশেন্টের শরীরে নিখুঁতভাবে করে দেয়। আমি যদি রোবট ছাড়া অপারেশন করি, তাহলে সেটা দুই তিন ঘণ্টার বেশি ভালভাবে করা সম্ভব নয়, বুঝতেই পারছেন। তারপর হাত নড়ে যায়, কিংবা হাত কাঁপতে শুরু করে। এখানে সে সব বিপত্তি নেই।’
কিচেনে তখন চরম ব্যস্ততা। প্রতিদিন ১ হাজার ২০০ মিলের ব্যবস্থা করতে হয়। বিভাগ অনুযায়ী রোবটরা খাবারের ওয়াগনটিকে ঠিক ঠিক জায়গায় পৌঁছে দেয়। হাসপাতালের লম্বা করিডর ধরে খাবার পৌঁছে যায় সঠিক বিভাগে। মানুষের সাহায্য লাগে না। পেশেন্ট বা হাসপাতাল কর্মীরা পথে পড়লেও খাবারের গাড়ি সেটা ঠিকমতো কাটিয়ে যায়, সঠিক রাস্তা বেছে নিয়ে আগে থেকে প্রোগ্রাম করা লক্ষ্যে পৌঁছে যায়। রোবট পৌঁছালে সিস্টাররা খবর পান যে, এবার পেশেন্টদের খাবার দেয়ার সময় হয়েছে। নার্স কাটিয়া আর্নস শোনালেন, ‘বহু পেশেন্ট এটা দেখে অবাক হয়ে যান। অপেক্ষা করেন, রোবট কখন আসবে অথবা জিজ্ঞেস করেন, খাবারের ট্রেগুলো কখন নিয়ে যাওয়া হবে। যাতে তারা সেটা দেখতে পারেন।’
শীঘ্রই পেশেন্টদের রক্তচাপ বা জ্বর মাপার মতো দৈনন্দিন কাজে রোবটদের সাহায্য নেয়া হবে। সিস্টার টেম্পারেচার মাপবেন, কিন্তু সেটা নথিবদ্ধ করার কাজ করবে রোবট, স্বয়ংক্রিয়ভাবে। কাজেই নার্সের হাতে পেশেন্টদের জন্য আরও বেশি সময় বাঁচবে।
আপনি ঘুরতে বেড়িয়েছেন রাস্তায়। হঠাৎ ভিমরি খেলেন কিছু একটা দেখে। নিজের চোখকেও বিশ্বাস করাতে কষ্ট হচ্ছে। কারণ রাস্তার ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে দাঁড়িয়ে আছে মানুষের জায়গায় রোবট। আপনি ঠিকমতো গাড়ি চালাচ্ছেন না কি ট্রাফিক আইন লঙ্ঘন করছেন তা কড়া দৃষ্টিতে নজর রাখছে রোবট। ট্রাফিক আইন ভাঙলেই এগিয়ে এসে আপনার গাড়ি থামানোর নির্দেশ দিচ্ছে। কেস দিচ্ছে, নিচ্ছে ফাইনও। কিংবা দুষ্কৃতদের ওপর এবং আইনশৃঙ্খলার ওপর নজর রাখছে রোবট, পুলিশের পোশাকে। আপনার সঙ্গে কোন ঘটনা ঘটেছে কিংবা আপনাকে কেউ মলেস্ট করেছে, আপনি অভিযোগ জানাচ্ছেন, একটি রোবট পুলিশের কাছে। রোবট বটে, তবে রোবট বলা যাবে না। পুলিশের পোশাকে একদম পুলিশ। দেখে একটুও বোঝার জো নেই যে রোবট, মানুষ নয়। আর দুষ্কৃতি বা আইন নিয়ন্ত্রণে নজর রাখার ব্যাপারে জবাব নেই। একেবারে মানুষ পুলিশের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করতে পারে। ভাবছেন এতক্ষণ ধরে যা পড়ছেন সেটা কোন সিনেমার গল্প। একেবারেই নয়। দুবাইয়ের রাস্তায় এটাই এখন বাস্তব। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির যুগে সিনেমার গল্প বা মানুষের অভাব পূরণের ভাবনাকে বাস্তবে রূপ দিয়েছে দুবাই। দুবাইয়ের রাস্তায় ঘুরলে কোথাও না কোথাও এখন আপনার চোখে পড়বেই এই রোবট পুলিশ।
মানুষের মস্তিষ্কের রহস্য আজও পুরোপুরি জানা যায়নি। সেই মস্তিষ্কের কাজ নকল করার চেষ্টা করতে গিয়ে বিজ্ঞানীরা তার জটিল কাঠামো সম্পর্কে আরও জ্ঞান অর্জন করছেন। বিশেষ করে অনুভূতি নকল করা বড় এক চ্যালেঞ্জ। সে নাকি খুশি হতে পারে, লাজুক হতে পারে। রোবটের মধ্যে কি অনুভূতি ও সচেতনতা ভরে দেয়া সম্ভব, সেই স্বপ্ন বাস্তব করতে হলে বিজ্ঞানীদের প্রয়োজন এমন এক কন্ট্রোল সেন্টার, যার ভিত্তি হবে মানুষের মস্তিষ্ক। অসাধারণ এক প্রকল্পের মাধ্যমে মস্তিষ্কের কাজকর্ম বোঝা ও কম্পিউটারে তা নকল করার চেষ্টা চলছে।
দক্ষিণ এশিয়ার মওসুমী আবহাওয়ার পূর্বাভাস জানতে ব্রিটিশ বিজ্ঞানীরা অভিনব এক উদ্যোগ নিয়েছেন। বঙ্গোপসাগরে একটি রোবট ছাড়ার পরিকল্পনা করছেন তারা, যার মাধ্যমে জানা যাবে কীভাবে সাগরের পরিস্থিতি বৃষ্টির ধরনে প্রভাব ফেলছে। এই প্রকল্পে খরচ হচ্ছে ১ কোটি ১০ লাখ মার্কিন ডলার। বিজ্ঞানীরা আগামী এক মাস ধরে বঙ্গোপসাগরে এ পরীক্ষা চালাবেন। সে লক্ষ্যে সাতটি রোবট সমুদ্রে ছাড়বেন তারা। যে রোবটগুলো সমুদ্রগর্ভে যেতে সক্ষম। টর্পেডো আকৃতির রোবটগুলোতে পানির মধ্যে পরিচালনা করা হবে জাহাজ থেকে। তারা সমুদ্রের পানির লবণাক্ততা, তাপমাত্রা আর স্রোতের সঠিক পরিমাপ জানাবে। ভারত সরকারের সহায়তায় ইউনিভার্সিটি অব রিডিংয়ের বিজ্ঞানীরা যৌথভাবে এই পরীক্ষা চালাচ্ছে। রোবটগুলো থেকে পাওয়া তথ্য বিশ্লেষণ করে বিজ্ঞানীরা বর্ষায় সাগরের পরিস্থিতি ভাল বুঝতে পারবেন বলে আশা করছেন। এ বছর ভারতীয় উপমহাদেশে বর্ষা এসেছেন ৮ জুন, সাধারণত এর এক সপ্তাহ আগেই বৃষ্টি শুরু হাওয়ার কথা। ভারতের মধ্য, পূর্ব ও উত্তরাঞ্চলে এবার ব্যাপক খরা হওয়ায় ভারত সরকার এ গবেষণার ব্যাপারে ব্যাপক আগ্রহী
রোবটের নাম ‘নাও’। সে নাচতে পারে, বাচ্চাদের পড়াতেও পারে। নাও এখন জার্মানিতে আসা শরণার্থী শিশুদের জার্মান ভাষা শেখাতে ব্যস্ত। ক্যামেরা, মাইক্রোফোন, সেন্সরে সুসজ্জিত ভাষা শিক্ষক রোবটের দারুণ সময় কাটছে শিশুদের সঙ্গে। জার্মানির বিলেফিল্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে শরণার্থী শিশুদের ভাষা শেখানোর এক কর্মসূচীতে অংশ নিচ্ছে নাও। প্রায় তিন বছরের এক মানবশিশুর উচ্চতার এই রোবট ছয় বছর আগে চীনের সাংহাই এক্সপোতে হাজির হয়েই তাক লাগিয়ে দিয়েছিল। যে রোবট মনের মতো রোবট পেলে মহানন্দে নাচতেও পারে তাকে দেখে অবাক কে না হবে, বলুন। বিলেফিল্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে নাওয়ের দায়িত্ব শরণার্থী শিশুদের জার্মান শেখানো। তার মেমরিতে অনেক জার্মান শব্দ, ব্যাকরণের অনেক নিয়ম এবং ব্যাখ্যা আগেই ঢুকিয়ে দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। ফলে বাচ্চাদের জার্মান পড়াতে তেমন কোন অসুবিধা হচ্ছে না। শ্রেণীকক্ষে ঝানু শিক্ষকের মতো নানা প্রশ্ন করছে নাও। উত্তর ভুল হলে সঙ্গে সঙ্গেই বলে উঠছে, ‘নাইন, নাইন, ডাস ইস্ট ফালশ।’ সঠিক উত্তরটা জানিয়ে দিতেও ভুল হচ্ছে না তার। সমস্যা শুধু এক জায়গায়। শিশুদের আবেগ-অনুভূতি বুঝে রোবট কিভাবে পড়াবে, শিশুদের অনুভূতি না বুঝলে তাদের মনে ভাষা শেখার আগ্রহ বাড়াবে কী করে রোবট, নাওকে নিয়ে এখন এটাই একমাত্র দুশ্চিন্তা।

তা’মীরুল মিল্লাত কামিল মাদরাসা ঢাকায় সাংস্কৃতিক পক্ষের বর্ণাঢ্য উদ্বোধন

তা’মীরুল মিল্লাত কামিল মাদরাসা ঢাকায় গতকাল মঙ্গলবার সাংস্কৃতিক পক্ষ-২০২০ এর উদ্বোধন হয়েছে। কুরআন তেলাওয়াত, হামদ-না’আত, আবৃতি, বক্তব্য প্রতিযোগিতাসহ মোট ২১ টি চমকপ্রদ ইভেন্টে পক্ষকালব্যাপী এ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মাদরাসার অধ্যক্ষ বিশিষ্ট আলেমে দ্বীন ড. মুহাম্মাদ আবু ইউছুফ খান। মাদরাসার সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক বিভাগের আহবায়ক মাদরাসার প্রধান মুফতি ড. মুহাম্মাদ খলিলুর রহমানের সভাপতিত্বে এবং মাদরাসা ছাত্রসংসদ এর জি এস আবু বকর আল মারূফের সঞ্চালনায় এ অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন ছাত্রসংসদের ভিপি আবু জাফর শাহীন। সকল ছাত্র ও শিক্ষকবৃন্দের উপস্থিতিতে এ অনুষ্ঠানে বক্তারা পুথিঁগত লেখাপড়ার পাশাপাশি সহপাঠ্যক্রমিক বিষয়গুলোতে অংশগ্রহণের মাধ্যমে নিজেদের যোগ্য ও সৃজনশীলকরে তোলার প্রতি গুরত্বারোপ করেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যক্ষ ড. মুহাম্মাদ আবু ইউছুফ খান শিক্ষার্থীদের মনোদৈহিক বিকাশের জন্য সহপাঠ্যক্রমিক বিষয়ে অংশগ্রহনের আবশ্যকতা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, তা‘মীরুল মিল্লাত কামিল মাদরাসা তার জন্মলগ্ন থেকে একদল আল্লাহ ভীরু, দক্ষ ও দেশপ্রেমিক সুনাগরিক গড়ে তোলার প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় মেধা ও যোগ্যতা যাচাইয়ের জন্য এ সকল প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহনের মাধ্যমে সৃজনশীল কাজে আত্মনিয়োগ করে দেশ সেরা মুহাদ্দিস, মুফাসসির, মুফতি, ডাক্তার, ইন্জিনিয়ার ও ব্যবসায়ী হতে হবে। একি সাথে কুরআন-হাদীসের সঠিক ব্যাখ্যা অনুধাবনের মাধ্যমে মাদরাসার শিক্ষার্থীরা ইসলামের শ্বাসত শান্তির বার্তা নিয়ে মানবজাতির কল্যানে আত্মনিয়োগ করবে।
সাংস্কৃতিক পক্ষ উদযাপনের জন্য ইতোমধ্যে মাদরাসার মাঠ, অডিটোরিয়াম ও প্রাঙ্গনসমুহ সহপাঠ্যক্রমিক উপকরণসহ বর্ণালী বেলুনে, প্ল্যাকার্ডে ও ফেস্টুনে সাজিয়ে উৎসবমুখর পরিবেশ করে তোলা হয়েছে। প্রেসবিজ্ঞপ্তি।

তীক্ষ্ণ মেধার অধিকারী বলে পরিগণিত হন আবদুল হামিদ

শিক্ষাজীবনের প্রতিটি স্তরে কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখে তৈরি হয়েছিলেন একজন আলোকিত মানুষ। আদর্শ মানুষ তৈরির মহান লক্ষ্য নিয়ে নিজের আলোকে মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দিতে প্রতিষ্ঠা করেন একটি দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। যার শিক্ষার পরশ নিয়ে দেশে তৈরী হয়েছে হাজার হাজার আলেম-ওলামা। শিক্ষা বিস্তারে অসামান্য অবদানের জন্য পেয়েছেন খ্যাতিমান শিক্ষাবিদের খেতাবও। ইসলামী শিক্ষা বিকাশে অক্লান্ত পরিশ্রমের কারণেই মানুষের মাঝে এখনও স্মরণ হয় তাঁর নাম। দ্বীনি আদর্শের অকুতোভয় এক অনন্য আলোকবর্তিকা, এই ব্যক্তিত্ব হলেন মাওলানা আব্দুল হামিদ। আজ থেকে ৩ বছর আগে ২০১৭ সালের ৩০ জানুয়ারি ইন্তিকাল করেন।
তার পিতা মরহুম মৌলভী মোসলেম গাজী। ১৯৫০ সাল মাতা রহিমা খাতুনের গর্ভে সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ তার। সাত ভাইবোনের তিনি চার ভাইয়ের মধ্যে সবচেয়ে ছোট ছিলেন। পড়ালেখার হাতে খড়ি গ্রামের মক্তবেই। বাল্যকালে পরিবার থেকেই ইসলামের আহকাম হুকুম মেনে চলার দীক্ষা পান। মক্তবে পড়ালেখাকালীন শিক্ষকদের কাছে নিজস্ব মেধা ও স্বকীয়তার কারণে অল্প দিনেই তীক্ষ্ণ মেধার অধিকারী বলে পরিগণিত হন আবদুল হামিদ। প্রাজ্ঞ এ আলেম প্রাথমিক শিক্ষা সমাপ্ত করে উচ্চশিক্ষার উদ্দেশ্যে সাতক্ষীরার ঐতিহ্যবাহী দ্বীনি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান মাহমুদপুর আমিনিয়া কামিল মাদরাসায় ভর্তি হন। ১৯৬৫ সালে দাখিল পরীক্ষায় কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখে প্রথম শ্রেণীতে উত্তীর্ণ হন। পরবর্তীতে ১৯৬৭ সালে আগরদাড়ি আমিনিয়া কামিল মাদরাসা থেকে ফাজিল এবং ১৯৭১ সালে হাদীসের ওপরে উচ্চশিক্ষা নিয়ে কামিল পরীক্ষায় সর্বোচ্চ নম্বর অর্জন করেন।
বরেণ্য এই শিক্ষাবিদ ১৯৭২ সালে শিক্ষকতা দিয়ে তার কর্মজীবন শুরু করেন সাতক্ষীরার মাহমুদপুর আমিনিয়া কামিল মাদরাসায়। তবে মাত্র কিছুদিন পরেই দেবহাটা উপজেলার হাদীপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সহকারী মৌলভী পদে যোগদান করেন।
১৯৭৪ সালে এলাকার বিশিষ্ট দানবীর আলহাজ্ব আব্দুর রহমান সাহেবের সহযোগিতায় নিজ এলাকায় প্রতিষ্ঠা করেন ঐতিহ্যবাহিী নওয়াপাড়া সিদ্দিকীয় সিনিয়র আলিম মাদ্রাসা। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে অবসর গ্রহণের পূর্ব পর্যন্ত তিনি ওই প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ হিসেবে কর্মরত ছিলেন। অত্যন্ত সুনামের সাথে ৩৪ বছর অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন শেষে ২০১০ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর অবসর গ্রহণ করেন।
মাওলানা আব্দুল হামিদ নিজের ব্যক্তিত্ব ও আদর্শকে কোনো শক্তির কাছে সমর্পণ করেননি। সত্যকে সত্য আর মিথ্যাকে মিথ্যা বলার দীপ্ত সহস নিয়ে চলতেন সবসময়। সাতক্ষীরার ইসলামী আন্দোলনের বীজ বপণের রুপকার ছিলেন সাতক্ষীরার গণমানুষের হৃদয়ের স্পন্দন সাবেক এমপি মরহুম কাজী সামছুর রহমান তিনি তার ঘনিষ্ঠ সহযোগী ছিলেন। বাইসাইকেলে করে দুই বন্ধু সাতক্ষীরার প্রতিটি প্রান্তরে ছুটে গেছেন ইসলামী আন্দোলনের সুমহান আদর্শের পরশ নিয়ে। বিপথগামী মানুষকে ফিরিয়ে এনেছেন নতুন আলোয় উদ্ধাসিত করে।
এজন্য মাওলানার অপর নেমে আসে সরকারের দমন-পীড়ন। বরেণ্য এই শিক্ষবিদকে আদর্শিকভাবে মোকাবিলা করতে না পেরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির পথ বেছে নেয়। কারাবরণ করতে হয় তাকে। সর্বোচ্চ আদালত থেকে জামিন পেলেও নতুন মামলায় আবার গ্রেফতারে আটকে রাখে তাঁকে। তবে জুলুম-নির্যাতনে তিনি কখনই ভেঙে পড়েননি। সব কষ্টকে হাসিমুখে বরণ করে অন্যের কষ্টের ভাগিদার হয়েছিলেন তিনি। জেল খানার চার দেয়ালের মাঝে বন্দি থাকা অবস্থায় নিজ প্রচেষ্টায় হিফজ করেন মহাগ্রন্থ আল কোরআন।
মাওলানা আবদুল হামিদ উল্লেখ করেন, মৌখিক দৈহিক ও আর্থিক শোকর প্রাণপণ ভাবেই যতই আদায় করা হোক না কেন? মনে করতে হবে এক একটা নেয়ামতের যে শোকর আদায় করা দরকার তা আদৌ করা হয় নাই। সবসময় নিজকে আমিত্ব বা অহংকার মুক্ত করে বিনয়ের সাথে আল্লাহর রহমতের মুখাপেক্ষী হতে হবে। রাতের শেষাংশে উঠে তাহাজ্জুদ পড়ে সেজদাহ অবনত হয়ে কান্নাকাটি করে বলতে হবে, হে দয়াময় মেহেরবান আল্লাহ’ বিশাল আসমান ও জমিনের মালিক শুধু নও আসমানের ওপরে এর মাঝখানে ও জমিনের নিচে যা কিছু আছে তুমি এর খালেক স্রষ্টা ও মালিক। আমি তোমার এক অধম গোলাম, তোমার নেয়ামতে আমি সার্বক্ষণিক ডুবে আছি। যেভাবে তোমার শোকর আদায় করা দরকার তা আমি করতে পারিনি, আমাকে তুমি অন্ধ খোড়া পঙ্গু কওে সৃষ্টি করলে আমার কিছু করার থাকতো না। অতএব শোকর বা কৃতজ্ঞতা একমাত্র আল্লাহর পাওয়া। যদি অসংখ্য নেয়মত উপভোগ করে তারই ােকর না করি, তাহলে তার প্রতি কুফুরি করা হবে।
বরেণ্য এই শিক্ষাবিদ অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুল হামিদ শিক্ষা, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ শ্রেষ্ঠ অধ্যক্ষ পুরস্কারে ভূষিত হন। তিনি মানুষের মাঝে ইসলামের সুমহান দাওয়াত পৌছানোর জন্য লিখে যান কিছু পান্ডুলিপি। তার লেখা বইগুলো হচ্ছে নামাজ রাজনীতির প্রশিক্ষণ, ‘শুকুরিয়া কাকে করব, কেন করব, কিভাবে করব’ যা বর্তমানে প্রকাশের অপেক্ষায় রয়েছে। এ গ্রন্থে মহান আল্লাহর শুকরিয়া করার জন্য একজন বান্দার কেন প্রয়োজন সে বিষয়টি অত্যন্ত যুক্তির সাথে উপস্থাপন করেছেন।
৬ কন্যা ও ১ পুত্রসন্তানের জনক এই মানুষটি ছয় কন্যাকে বিয়ে দিয়েছেন সাতক্ষীরার ৬ জন খ্যাতিমান আলেমের সাথে। একমাত্র পুত্র মাওলানা হাবিবুল্লাহ পিতার আদর্শকে আগলে ধরে এগিয়ে যাচ্ছেন। তার রেখে যাওয়া স্মৃতি, নাম পরম মমতায় আগলে রেখে চলছেন শুভানুধ্যায়ীরা। হয়তো এই ধারাবাহিকতা চলবে হয়তো প্রজন্মে প্রজন্মে।
তেজোদীপ্ত নেতৃত্বের অধিকারী এই মানুষটি ইসলামী আন্দোলনের আদর্শিক সু-ঘ্রান মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দেওয়ার লড়াইয়েও ছিলেন এক অকুতোভয় সৈনিক। যার মৃত্যুতে শোকে মুহ্যমান হয়ে পড়ে মজলুম জনপদ সাতক্ষীরার অগণিত ইসলাম প্রিয় তাওহিদী জনতা। শুধু পরিবার নয় সমাজের চোখেও একজন আদর্শ অভিভাবক।
পরিশেষে বরেণ্য শিক্ষাবিদ অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুল হামিদের দেশ-বিদেশের অগণন ভক্ত অনুরাগীদের কাছে আমার বিনম্র শ্রদ্ধায় আবেদন, তার অপূর্ণ থাকা আদর্শিক লড়াইকে সুনীল দিগন্তে উদ্ভাসিত করার প্রত্যয়ে, পৃথিবীর প্রতিটি প্রান্তে ইসলামের সুমহান দাওয়াতের সৌরভ ছড়িয়ে দেওয়ার দিপ্ত মানসে ঐক্যবদ্ধ চিত্তে এগিয়ে যেতে হবে। তবেই  মৃত্যুঞ্জয়ী কিংবদন্তি এই মানুষটির প্রতি ভালবাসার যথার্থতা ফুটে উঠবে। মহান আল্লাহ তাঁকে জান্নাতী মেহমান হিসেবে গ্রহন করবেন- এই প্রত্যাশা আমাদের সকলের।
লেখক: সাবেক সহ-সভাপতি, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রেসক্লাব ও চেয়ারম্যান-রিভারসাইড ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট, বাংলাদেশ।

প্রিমিয়ার ফুটবল লিগের ১৩তম আসরের খেলা পিছিয়ে

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার ফুটবল লিগের ১৩তম আসরের খেলা পিছিয়ে গেল। আজ বৃহস্পতিবার ১৩ দলের অংশগ্রহনে লিগ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও ক্লাবগুলোর অনুরোধে তা পিছিয়ে দিল লিগ কমিটি। নির্ধারিত দিনে খেলা শুরু করতে না পারার ঐতিহ্য ধরে রাখলো বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের প্রফেশনাল লিগ কমিটি। ১৪ দিন পিছিয়ে লিগ শুরু হবে ১৩ ফেব্রুয়ারি। গতকাল প্রফেশাল লিগ কমিটির জরুরি সভায় লিগের নতুন তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। চ্যাম্পিয়ন বসুন্ধরা কিংসসহ কয়েকটি ক্লাব লিগ কয়েকদিন পেছানোর দাবি করেছিল। ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের নির্বাচন, ক্লাবগুলোর প্রস্তুতি এবং আবাহনীর এএফসি কাপের কারণে লিগ কমিটি খেলা পিছিয়ে দিয়েছে। আবাহনী ৫ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় এবং ১২ ফেব্রুয়ারি মালদ্বীপে এএফসি কাপ খেলবে।
লিগ কমিটির জরুরি সভায় বিদেশি খেলানোর নিয়মেও পরিবর্তন আনা হয়েছে। এবারের প্রিমিয়ার লিগের নিয়ম ছিল প্রতিটি ক্লাব একজন এশিয়ানসহ ৫ জন বিদেশি নিবন্ধন করতে পারবে এবং এক ম্যাচ খেলাতে পারবে সর্বোচ্চ ৪ জন। গতকাল বাফুফে ভবনে অনুষ্টিত সভায় বিদেশির পরিবর্তে বিদেশি নামানোর অনুমোদন দেয়া হয়েছে। তবে এটা কেবল এশিয়ান কোটার বিদেশির পরিবর্তে এশিয়ান বিদেশি এবং অন্য মহাদেশের হলে অন্য মহাদেশের ফুটবলার বদলি হিসেবে নামানো যাবে। লিগ কমিটির এই সিদ্ধান্তে স্থানীয় ফুটবলারদের খেলার সুযোগ আরো একটু কমে গেলো।এবারের প্রিমিয়ার লিগের খেলাগুলো হবে ৭ ভেন্যুতে। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম হোমভেন্যু হিসেবে নিয়েছে আবাহনী, শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব, ব্রাদার্স ইউনিয়ন, রহমতগঞ্জ, আরামবাগ, পুলিশ ফুটবল ক্লাব এবং উত্তর বারিধারা। সাইফ স্পোর্টিং ক্লাবের হোমভেন্যু ময়মনসিংহ, বসুন্ধরা কিংসের ভেন্যু নীলফামারী, মোহামেডানের কুমিল্লা, শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রের সিলেট, চট্টগ্রাম আবাহনীর এমএ আজিজ স্টেডিয়াম এবং মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্রের গোপালগঞ্জ।১৩ ফেব্রুয়ারি লিগের উদ্বোধনী দিনে মাঠে নামছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন বসুন্ধরা কিংস। হোম ভেন্যু নীলফামারী স্টেডিয়ামে তারা খেলবে উত্তর বারিধারার বিরুদ্ধে।

করোনা ভাইরাসকে ‘শয়তান’ বললেন চীনের প্রেসিডেন্ট

মরণঘাতী করোনাভাইরাসকে ‘শয়তান’ বলে আখ্যায়িত করেছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি চিন পিং। গত মঙ্গলবার বেইজিংয়ের গ্রেট হলে বিশ্ব স্বাস্থ্য বিভাগের (ডব্লিউএইচও) মহাপরিচালক টেড্রস অ্যাধানমের সঙ্গে এক বৈঠকে তিনি একথা বলেন। নতুন করোনাভাইরাস থেকে বিদেশি ও চীনা নাগরিকদের কীভাবে সুরক্ষা দেওয়া যায় তা নিয়ে আলোচনায় বসেছিলেন ডব্লিউএইচও-এর প্রধান ও শি চিনপিং। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, বিশ্ব স্বাস্থ্য বিভাগের প্রধানের সঙ্গে বৈঠকে আলোচনার সময় শি চিনপিং বলেন, ‘নতুন করোনাভাইরাস একটি শয়তান এবং এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী চীন।’ ‘আমরা শয়তানকে আড়ালে থাকতে দিতে পারি না’ বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
চীনের এই সংকটের সময় উব্লিউএইচও এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় বিচক্ষণতার সঙ্গে সার্বিক সহযোগিতা করবেন বলেও প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন দেশটির প্রেসিডেন্ট।   
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে চীনের এ পরিস্থিতিকে জরুরি অবস্থা হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে। একে বৈশ্বিক স্বাস্থ্যের জন্য উচ্চ ঝুঁকি হিসেবেও ঘোষণা করেছে সংস্থাটি। প্রসঙ্গত, চীনে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। আজ বুধবার পর্যন্ত মরণঘাতী এ ভাইরাসে ১৩২ জনের প্রাণ গেছে। এ ছাড়া আরও ২ হাজার মানুষ নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন এই ভাইরাসে। এদিকে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টায় চীনা নববর্ষের চলমান ছুটি আরও তিন দিন বাড়িয়ে আগামী রোববার পর্যন্ত করা হয়েছে। করোনাভাইরাসের উৎপত্তিস্থল উহান শহর ছাড়াও বেশ কয়েকটি শহর ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে দেশটির সরকার।

ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় আহত সেনার সংখ্যা আরেক দফা বাড়িয়েছে

মার্কিন যুদ্ধ মন্ত্রণালয় ইরাকের আইন আল-আসাদ ঘাঁটিতে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় আহত সেনার সংখ্যা আরেক দফা বাড়িয়েছে। আগের ঘোষণার চেয়ে আরো ১৬ জন বাড়িয়ে এবার ৫০ জনের আহত হওয়ার কথা জানিয়েছে পেন্টাগন।
পেন্টাগনের মুখপাত্র লে. কর্নেল থমাস ক্যাম্পবেল স্থানীয় সময় মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে বলেছেন, আজ পর্যন্ত ৫০ জন মার্কিন সেনা মস্তিষ্কের আঘাত নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তিনি বলেন, এদের মধ্যে ৩১ জনকে ইরাকেই চিকিৎসা দেয়া হয়েছে এবং তারা ডিউটিতে ফিরে গেছেন। এই ৩১ জনের মধ্যে ১৫ জনকে অতি সম্প্রতি চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
অন্যদিকে গুরুতর ব্রেইন ইনজুরি নিয়ে ১৮ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য জার্মানিতে পাঠানো হয়েছে এবং বাকি একজনকে কুয়েতে নেয়া হয়েছে।
এর আগে  গত শুক্রবার তার আগের পরিসংখ্যানের চেয়ে তিনগুণ বেশি মার্কিন সেনার আহত হওয়ার কথা জানিয়েছিল পেন্টাগন।
ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় বিধ্বস্ত মার্কিন ঘাঁটি আইন আল-আসাদ
ইরানের কুদস ফোর্সের সাবেক কমান্ডার লেঃ জেনারেল কাসেম সোলাইমানির শাহাদাতের প্রতিশোধ নিতে গত ৮ জানুয়ারি ইরাকে অবস্থিত মার্কিন সামরিক ঘাঁটি আইন আল-আসাদে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান।  মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ওই ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর দাবি করেছিলেন কোনো মার্কিন সেনা আহত হয়নি। এরপর ১১ মার্কিন সেনা মস্তিষ্কে ইনজুরি নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে বলে পেন্টাগন স্বীকার করার পর ট্রাম্প আবার দাবি করেন, এসব সেনার খানিকটা 'মাথাব্যথা' করছিল বলে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আমেরিকার দাবি অনুযায়ী আহত সেনার সংখ্যা ১১ থেকে এক লাফে ৩৪ জন এবং তারপর আবার ৫০ জনে উন্নীত হওয়ায় পর্যবেক্ষকদের মনে এখন ওই হামলায় হতাহতের সংখ্যা সম্পর্কে ইরানের ঘোষণা বদ্ধমূল হতে শুরু করেছে।
ইরান ৮ জানুয়ারি ভোরে ওই ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর পর বলেছিল, তাদের হামলায় ৮০ মার্কিন সেনা নিহত ও অপর ২০০ জন আহত হয়েছে। আহত সেনাদেরকে চিকিৎসা দিতে সি১৩০ বিমানে করে আইন আল-আসাদ ঘাঁটি থেকে অন্যত্র সরিয়ে নেয়া হয়েছে বলেও ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী বা আইআরজিসি’র একজন কর্মকর্তা জানিয়েছিলেন।
গত ৩ জানুয়ারি শুক্রবার ভোররাতে বাগদাদ বিমানবন্দরের কাছে ইরানের কুদস ফোর্সের কমান্ডার লেঃ জেনারেল কাসেম সোলাইমানিসহ ইরান ও ইরাকের ১০ সেনা কমান্ডারকে হত্যা করে আমেরিকা। এর প্রতিশোধ হিসেবে ৮ জানুয়ারি আইন আল-আসাদ ঘাঁটিতে এক ডজনেরও বেশি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে ইরান।- সূত্র: পার্স টুডে

করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৭০ জনে


চীনে মারাত্মকভাবে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৭০ জনে। এছাড়া আক্রান্ত হয়েছে সাত হাজার ৭১১ জন।
এদিকে চীনে থাকা অন্যান্য দেশের লোকজনকে নিবিড় পর্যবেক্ষণের মধ্যে নিজ দেশে ফেরত নেয়া শুরু হয়েছে। চীন ছাড়াও সারাবিশ্বে ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়ার ব্যাপারে ‘গভীর উদ্বেগ’ প্রকাশ করেছেন আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। খবর, ইউএনবি’র। 
সর্বশেষ পরিসংখ্যান থেকে জানা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৮ জন মারা গেছে এবং নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন এক হাজার ৭৩৭ জন। মৃতদের মধ্যে ৩৭ জনই এ ভাইরাসের উৎপত্তিস্থল হুবেই প্রদেশের রাজধানী উহানের বসবাস করতেন। অন্যজন চীনের দক্ষিণের প্রদেশ সিচুয়ানের অধিবাসী। 
এরই মধ্যে, উহান শহর থেকে ১৯৫ জন আমেরিকানকে তাদের নিজ দেশে ফেরত নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ক্যালিফোর্নিয়া সেনা ঘাঁটিতে তাদেরকে তিনদিনের পর্যবেক্ষণে রেখে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে।
জাপানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ১১ মিলিয়ন মানুষ বসবাস করা হুবেই প্রদেশের রাজধানী উহান থেকে বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় বিশেষ ফ্লাইটে ফেরত নেয়া ২১০ জন জাপানির মধ্যে নয়জনের শরীরে কাশি ও জ্বরের লক্ষণ পাওয়া গেছে। দেশটির প্রধানমন্ত্রী শিনজো অ্যাবে সংসদে এক বক্তব্যে জানিয়েছেন, চীন থেকে বুধবার নিজ দেশে ফেরত নেয়া ২০৬ জন জাপানিকে পরীক্ষা করে তাদের তিনজনের মাঝে করোনাভাইরাসের জীবাণু পাওয়া গেছে।
এদিকে নিজ দেশের লোকদের চীন থেকে ফেরত নিতে ফ্রান্স, নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া ও অন্যান্য দেশ প্রয়োজনীয় প্রদক্ষেপ নিচ্ছে।

রাজনীতি কি জানেন?

রাজনীতি (ইংরেজিPolitics) হলো এমন একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে কিছু ব্যক্তির সমন্বয়ে গঠিত কোন গোষ্ঠী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। যাদ্বরা নাগরিক সরকারের রাজনীতিকেই বোঝানো হয়, তবে অন্যান্য অনেক সামাজিক প্রতিষ্ঠান, যেমন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান যেখান মানুষের মধ্যে পারস্পারিক সম্পর্ক বিদ্যমান, সেখানে রাজনীতি চর্চা করা হয়। রাজনীতি কর্তৃত্ব ও ক্ষমতার ভিত্তিতে গঠিত সামাজিক সম্পর্ক নিয়ে গঠিত।[১] রাষ্ট্রবিজ্ঞান হচ্ছে শিক্ষার এমন একটি শাখা যা রাজনৈতিক আচরণ শেখায় এবং ক্ষমতা গ্রহণ ও ব্যবহারের উপায় সম্পর্কে আলোচনা করে। রাজনৈতিক চিন্তার ইতিহাস খুঁজে পাওয়া যায় প্লেটোর রিপাবলিকএরিস্টটলের রাজনীতি এবং কনফুসিয়াসের কিছু লেখনীতে।
রাজনীতির উদ্ভব মানবসভ্যতার বিকাশ এর সাথে সাথে রাজার রাজতান্ত্রিক চিন্তাধারার মধ্যে দিয়ে ঘটেছে ও পরিপূর্ণতা লাভ করেছে, রাজতান্ত্রিক চিন্তাধারা এবং রাজনৈতিক কলা কৌশল ও পরবর্তীকালের আধুনিক রাজনীতির শ্রেণী বিভাজন রাষ্ট্রবিজ্ঞানমূলক চিন্তাধারার উত্থান ঘটিয়েছে। মেকিয়াভেলী রচিত "The Prince" গ্রন্থটি রাজতন্ত্রের চরিত্র ও স্থায়ীত্ব নিয়ে বলিষ্ঠ বিশ্লেষণ করেছে । রাজনীতি হলো এককথায় এক বিশেষ রাজত্ব কেন্দ্রিক নীতি বা রাজার নীতি এটি একটা বিশেষ চেতনা বা আদর্শ ।Image result for রাজনীতি"

বিনোদন, চিত্তবিনোদন বা মনোরঞ্জন

Image result for বিনোদন উইকিপিডিয়া"
বিনোদনচিত্তবিনোদন বা মনোরঞ্জন এমন এক ধরনের কাজ যা দর্শক বা শ্রোতার আকর্ষণ বা আগ্রহের বিষয় এবং যা তাদের আনন্দ প্রদান করে। বিনোদন কোন ধারণা বা কাজ হতে পারে কিন্তু হাজার বছর ধরে দর্শক বা শ্রোতা আগ্রহ ধরে রেখেছে এমন কাজ হতে হবে। যদিও মানুষের বিভিন্ন বিষয়ে আগ্রহ থাকে, কারণ বিনোদনে মানুষের ভিন্ন ভিন্ন পছন্দ থাকে, এবং বেশির ভাগই স্বীকৃত ও পরিচিত। সংস্কৃতিতে গল্পবলাসঙ্গীতনাটকনৃত্য, ও বিভিন্ন ধরনের প্রদর্শন কলা বিদ্যমান। এসব বিনোদনের রূপ সময়ের সাথে সাথে আধুনিকীকরণ হয়েছে। বিনোদন শিল্প গড়ে ওঠার সাথে সাথে এই আধুনিকীকরণ পদ্ধতি তরান্বিত হয়েছে।
বিনোদন গ্রহণের অভিজ্ঞতা আনন্দ লাভের সাথে জড়িত। ফলে বিনোদনের একটি সাধারণ উদ্দেশ্য হল মজা ও হাস্যরস, যদিও অনেক বিনোদন গুরুতর উদ্দেশ্য থাকে। এই কারণেই বিনোদনের বিভিন্ন রূপ দেখা যায়, যেমন অনুষ্ঠানাদি, উৎযাপন, ধর্মীয় উৎসব, ও ব্যঙ্গ। যাই হোক, বিনোদনে যাই প্রদর্শিত হোক না কেন এ থেকে অন্তর্দৃষ্টি বা বুদ্ধির বিকাশের সম্ভাবনা রয়েছে।

শিক্ষা হল সম্ভাবনার পরিপূর্ণ বিকাশ

শিক্ষা প্রক্রিয়ায় কোন ব্যক্তির অন্তর্নিহিত গুণাবলীর পূর্ণ বিকাশের জন্য উৎসাহ দেয়া হয় এবং সমাজের একজন উৎপাদনশীল সদস্য হিসেবে প্রতিষ্ঠালাভের জন্য যে সকল দক্ষতা প্রয়োজন সেগুলো অর্জনে সহায়তা করা হয়। সাধারণ অর্থে জ্ঞান বা দক্ষতা অর্জনই শিক্ষা। ব্যাপক অর্থে পদ্ধতিগতভাবে জ্ঞানলাভের প্রক্রিয়াকেই শিক্ষা বলে। তবে শিক্ষা হল সম্ভাবনার পরিপূর্ণ বিকাশ সাধনের অব্যাহত অনুশীলন। বাংলা শিক্ষা শব্দটি এসেছে ‍'শাস' ধাতু থেকে। যার অর্থ শাসন করা বা উপদেশ দান করা। অন্যদিকে শিক্ষার ইংরেজি প্রতিশব্দ এডুকেশন এসেছে ল্যাটিন শব্দ এডুকেয়ার বা এডুকাতুম থেকে। যার অর্থ বের করে আনা অর্থাৎ ভেতরের সম্ভাবনাকে বাইরে বের করে নিয়ে আসা বা বিকশিত করা। সক্রেটিসের ভাষায় “শিক্ষা হল মিথ্যার অপনোদন ও সত্যের বিকাশ।” এরিস্টটল বলেন “সুস্থ দেহে সুস্থ মন তৈরি করাই হল শিক্ষা”। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভাষায় “শিক্ষা হল তাই যা আমাদের কেবল তথ্য পরিবেশনই করে না বিশ্বসত্তার সাথে সামঞ্জস্য রেখে আমাদের জীবনকে গড়ে তোলে।”

সময় থাকিতে সাবধান.

Ononno Barta| The Latest Bangla News Platformসময় থাকিতে সাবধান. কারিগরি শিক্ষার গুরুত্ব বাড়িতেছে. ইহা একটি ব্যতিক্রমী শিক্ষা. জেব্রাক্রসিংয়ের কোনো মানে নাই! আসন্ন এসএসসি পরীক্ষা. দেহ শীতল হইতেছে; কিন্তু মন কি হইতেছে? দখল ও দূষণে কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকত. মানুষ যেন আতঙ্কিত না হয়. স্বাধীনতা জীবনের সমান মূল্যবান.

সুস্বাদু আঙ্গুর, খুবই লোভনীয়।

Image may contain: plant, food, outdoor and natureআঙুর (Vitis vinifera) আঙ্গুর বা দ্রাক্ষা (ইংরেজি Grape) এক প্রকারের ফল যা লতা জাতীয় দ্রাক্ষালতা গাছে ফলে থাকে। দ্রাক্ষালতা গাছটি Vitaceae পরিবারের অন্তর্গত। ৬ হতে ৩০০টি পর্যন্ত আঙুর এক সাথে একই থোকায় ধরে থাকে। এর রঙ কালো, নীল, সোনালী, সবুজ, বেগুনি-লাল, বা সাদা হতে পারে। পাকা আঙুর সরাসরি খাওয়া হয়, বা এটি দিয়ে রস, জেলি, মদ, বা আঙুর-বীজের তেল তৈরি করা হয়।
আঙুরকে শুকিয়ে কিসমিস তৈরি করা হয়। বন্য আঙুরলতা অনেক ক্ষেত্রে পরগাছা হিসাবে অন্য গাছকে গ্রাস করে ফেলে।
স্বল্প পরিসরে আঙ্গুর চাষের জন্য বাড়তি জায়গার প্রয়োজন হয় না। বসতবাড়ীর আঙ্গিনায় যে স্থানে সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত রৌদ্র থাকে অথচ পানি দাঁড়ায় না এমন জায়গা নির্বাচন করে আঙ্গুর চাষ করা যায়। যদি বাড়ির আশেপাশে বা আঙ্গিনায় জায়গা না থাকে বিশেষ করে শহর অঞ্চলে তারা বাড়ির ছাদে টবে আঙ্গুর চাষ করতে পারেন। আঙ্গুরের পুষ্টিগুণ অনেক। আমাদের দেশে রোগীর পথ্য হিসেবে আঙ্গুর ব্যাপক ব্যবহৃত হয়৷ এতে প্রোটিন, শর্করা, চর্বি, ক্যালসিয়াম, ফরফরাস, লৌহ, খনিজ, পটাশিয়াম, থিয়ামিন, রিবোফ্লাবিন, ভিটামিন-এ, বি, সি উপাদান রয়েছে৷ তাছাড়া প্রতি কেজি আঙ্গুর থেকে প্রায় ৪৫০ ক্যালরি খাদ্যশক্তি পাওয়া যায়৷

আগামী ২২শে জানুয়ারি থেকে ই-পাসপোর্ট কার্যক্রম।

======= ই-পাসপোর্ট করতে যা লাগবে ======
ই-পাসপোর্টের আবেদনপত্র জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) বা জন্মনিবন্ধন সনদ(বিআরসি) অনুযায়ী পূরণ করতে হবে। অপ্রাপ্ত বয়স্ক(১৮ বছরের কম) আবেদনকারী, যার জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নেই, তার পিতা-মাতার জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নম্বর অবশ্যই উল্লেখ করতে হবে।

No photo description available.

আযানের জবাব দিলে যে প্রতিদান পাওয়া যাবে।

আযানের জবাব দিলে যে প্রতিদান পাওয়া যাবে।
রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেনঃ
❝যে ব্যক্তি আন্তরিক বিশ্বাসের সাথে আযানের উত্তর দেয়, তার জন্য জান্নাত ওয়াজিব হয়ে যায়।❞
(সহীহ মুসলিমঃ ৩৮৫)Image result for আযান"
সুবহা’নাল্লাহ! জান্নাত ওয়াজিব হয়ে যায়!
মাত্র ৩-৪ মিনিটেই এতো সহজ একটা আমল হেলাফেলা করে বাদ দেওয়া মোটেও ঠিকনা। আর এজন্যতো আলাদা কোনো দু'আও মুখস্থ করা লাগছেনা, শুধু মুয়াজ্জিনের সাথে সাথে অন্তরে বিশ্বাস ও খেয়াল রেখে কথাগুলো বলবেন। আমরা চেষ্টা করলে আজকে থেকেই এই আমল করার অভ্যাস গড়ে তুলতে পারবো ইন-শা-আল্লাহ।
.
আযান শুনলে তার উত্তর দিবো কিভাবে?
মুয়াজ্জিন আযানে যা যা বলবে তার সাথে সাথে তাই বলতে হবে, শুধুমাত্র যখন ❝হাইয়্যা আলাস সালাহ❞ ও ❝হাইয়্যা আলাল ফালাহ❞ বলবে, তখন তার উত্তরে সেটা না বলে বলতে হবেঃ
.
لاَ حَوْلَ وَلاَ قُوَّةَ إِلاَّ بِاللَّهِ
.
উচ্ছারনঃ ❝লা হাউলা ওয়ালা কুওয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহ❞।
.
ফযরের আযানে যখন ❝আস-সালাতু খায়রুম-মিনান-নাওম❞ বলবে, তার জবাবে ❝আস-সালাতু খায়রুম-মিনান-নাওম❞ ই বলতে হবে।
এটা হচ্ছে আযানের উত্তর দেওয়ার নিয়ম। আযান শুনতে পেলে তার জবাব দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ একটি সুন্নত। আমরা চেষ্টা করি অত্যন্ত সহজ এই সুন্নত আমলটি করার জন্য।

বিশ্বকাপ খেলা নিয়ে বাংলাদেশকে বড় দুঃসংবাদ শুনতে হল

আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ২০২১ সালের আয়োজক ছিল ভারত। কিন্তু ৫০ ওভারের এই আসর ২০২১ সালে আর হচ্ছে না। ৫০ ওভারে পরিবর্তে টি-২০ বিশ্বকাপ আয়োজন করা হবে ভারতে। ঠিক এমনটাই জানিয়েছে আইসিসি।
এই বছরেই হতে যাচ্ছে ২০২০ আইসিসি টি-২০ বিশ্বকাপ। এটি অনুষ্ঠিত হবে অস্ট্রেলিয়ায়। তার এক বছর পরেই আবার ভারতে হবে ২০২১ আ
ইসিসি টি-২০ বিশ্বকাপ।
গত ২৪শে জানুয়ারি শুক্রবার ২০২১ টি-২০ বিশ্বকাপের অংশগ্রহণের নীতিমালা ঘোষণা করেছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থা (আইসিসি)। এই আসরে মোট ১৬টি দল অংশগ্রহণ করবে। তার মধ্যে ২০২০ সালের টি-২০ বিশ্বকাপের মূল পর্বে খেলা ১২টি দল সরাসরি খেলবে এবং বাকি চার দল বাছাই পর্বে মাধ্যমে নির্বাচন করা হবে।
এই কারণে বাংলাদেশ এখনো নিশ্চিত হয়নি ২০২১ সালের টি-২০ বিশ্বকাপ খেলার জন্য। বাংলাদেশকে এই আসরে থাকতে হলে ২০২০ সালের টি-২০ বিশ্বকাপের মূল পর্ব খেলতে হবে।
আর এই জন্য বাংলাদেশকে ২০২০ সালের বিশ্বকাপের বাছাই পর্ব খেলে মূল পর্বে প্রবেশ করতে হবে। বলে রাখা ভাল যে ২০২০ সালের টি-২০ বিশ্বকাপ হবে ১২ দলের সমন্বয়ে। এর মধ্যে র‍্যাংকিংয়ের ১ম ৮ দল সরাসরি খেলবে এই আসর আর বাকি ৪ দল আসবে বাছাই পর্ব খেলে।

বিশ্ব এখন করোনা ভাইরাস নিয়ে উদ্বিগ্ন

Image result for করোনাভাইরাস
সারা বিশ্বই এখন রহস্যময় করোনা ভাইরাস নিয়ে উদ্বিগ্ন। যেখানে সমগ্র চীন এখন আতঙ্কিত, আক্রান্ত প্রদেশ (হুবেই-উহান) যেখানে আমাদের দেশের ৫শ'র বেশি বাংলাদেশী ছাত্র/ছাত্রী অধ্যয়নরত আছেন। চীনা নববর্ষের ছুটি উপলক্ষে বেশির ভাগই ১৫ জানুয়ারীর আগেই দেশে চলে গেছেন।
দেশের বিমানবন্দরে সতর্কতা জারির আগেই তারা ইমিগ্রেশন পার হয়ে দেশে প্রবেশ করেছেন। অজান্তেই যদি একজনের মাধ্যমে এই ভাইরাস নিয়ে দেশে ঢুকে থাকেন, কি রকমের মহামারী পরিস্থিতি আক্রান্ত হতে পারে তা হয়তোবা আমাদের কল্পনার বাহিরে।
যেখানে চীন হিমশিম খাচ্ছে, মাত্র ৬ দিনেই ১০০০ শয্যা বিশিষ্ট একটি হাসপাতাল তৈরি কাজে নেমে গেছে চীন সরকার।
গত ১৯ জানুয়ারী চীন হয়ে অষ্ট্রেলিয়াতে প্রবেশ কোন এক নাগরিক। আজ শনিবার তিনি শারীরিকভাবে আক্রান্ত হয়েছেন বলে নিউজে দেখলাম।
তাই আশা করছি দেশের উচ্চ পর্যায়ের কঠোর সতর্কতা অবলম্বন এবং চীন থেকে রিসেন্টলি আগত সকল দেশী/বিদেশি'দের হাসপাতালে গিয়ে শারীরিক চেকআপ করানো। এই মুহুর্তে সতর্কতা অবলম্বন করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।



অর্থনীতির পরিচয়।

অর্থনীতি বা ‌‌‌অর্থশাস্ত্র সামাজিক বিজ্ঞান-এর একটি শাখা যা পণ্য এবং কৃত্যের উৎপাদন, সরবরাহ, বিনিময়, বিতরণ এবং ভোগ ও ভোক্তার আচরণ নিয়ে আলোচনা করে থাকে৷[১]
GDP per capita PPP 2014-en.svg



 সম্পদ সীমিত কিন্তু চাহিদা অফুরন্ত– এই মৌলিক পরিপ্রেক্ষিতে সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করা অর্থনীতির প্রধান উদ্দেশ্য৷ অর্থনীতি শব্দটি ইংরেজি 'Economics' শব্দের প্রতিশব্দ। Economics শব্দটি গ্রিক শব্দ 'Oikonomia' থেকে উদ্ভূত যার অর্থ গৃহস্থালী পরিচালনা। [এল.রবিন্স] এর প্রদত্ত সংজ্ঞাটি বেশিরভাগ আধুনিক অর্থনীতির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। তিনি বলেন, "অর্থনীতি মানুষের অসীম অভাব ও বিকল্প ব্যবহারযোগ্য সীমিত সম্পদের সম্পর্ক বিষয়ক মানব আচরণ নিয়ে আলোচনা করে।" এল.রবিন্সের সংজ্ঞাটি বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় যে এটি মানব জীবনের তিনটি মৌলিক বৈশিষ্টের উপর প্রতিষ্ঠিত, যথা অসীম অভাব, সীমিত সম্পদ ও বিকল্প ব্যবহারযোগ্য সম্পদ। অর্থনীতির পরিধিসমূহ বিভিন্ন ভাগে বা শ্রেণীতে ভাগ করা যায়, যেমনঃ
আধুনিক অর্থনীতিকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়, (১)ব্যাস্টিক অর্থনীতি ও (২)সামস্টিক অর্থনীতি৷ ব্যাস্টিক অর্থনীতি মূলত ব্যক্তি মানুষ অথবা ব্যবসায়ের চাহিদা ও যোগান নিয়ে আলোচনা করে থাকে৷ অন্যদিকে সামস্টিক অর্থনীতি একটি দেশের সামগ্রিক অর্থনীতির জাতীয় আয়, কর্মসংস্থান, মুদ্রানীতি, ইত্যাদি বিষয়াদি নিয়ে আলোচনা করে৷ অন্য ভাবে বলা যায়যে, Micro Economics বা ব্যাষ্টিক অর্থনীতির লক্ষ্য হলো অর্থনীতির একটি বিশেষ অংশ বা একককে ব্যক্তিগত দৃস্টিকোণ থেকে বিশ্লেষণ করা এবং Macro Economics বা সামষ্টিক অর্থনীতি অর্থনীতির সামগ্রিক বিষয়াদি বিশ্লেষণ করে থাকে।

অপরাধ কি?

অপরাধ (ইংরেজি: Crime, Misdemeanor, Felony) হচ্ছে কোন ব্যক্তি কর্তৃক আইনবিরুদ্ধ কাজ।
 দেশ বা অঞ্চলের শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার্থে প্রণীত আইনের পরিপন্থী কার্যকলাপই অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়। অপরাধ গুরুতর কিংবা লঘু - উভয় ধরনেরই হতে পারে। অপরাধের ফলে ব্যক্তিকে অর্থদণ্ডহাজতবাস বা কারাগারে প্রেরণসহ উভয় দণ্ড কিংবা ক্ষেত্রবিশেষে প্রাণদণ্ডও প্রদান করা হয়ে থাকে। যে বা যিনি অপরাধ করেন বা অপরাধের সাথে সংশ্লিষ্ট থাকেন, তিনি অপরাধী হিসেবে চিহ্নিত। অপরাধ নিয়ন্ত্রণের জন্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থা হিসেবে থানাসহ পুলিশগোয়েন্দা রয়েছে। অপরাধের গুরুত্ব অণুযায়ী আদালতের মহামান্য বিচারক অপরাধীকে প্রয়োজনীয় ও যথোপযুক্ত শাস্তি দিয়ে থাকেন।

সাধারণতঃ অসৎ কর্মে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি অপরাধের সাথে যুক্ত থাকেন। কিন্তু সাধারণ জনগণও অপরাধের সাথে নিজেকে সংযুক্তি ঘটাতে পারেন। বিপরীতক্রমে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আইন অণুযায়ী, মানব নয় এমন ধরনের প্রাণী অপরাধের সাথে যুক্ত হতে পারে না।[১]
সাধারণ ধারণা অণুযায়ী কোন ব্যক্তি, অন্য কোন ব্যক্তি বা সমাজের সমস্যা সৃষ্টিকল্পে যে সকল কাজ করেন তাই অপরাধ। অপরাধ হিসেবে কোন ব্যক্তিকে খুন, জখম, চুরি, ডাকাতি, রাহাজানি, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড, ধর্ষণ, জালিয়াতি, অর্থপাচার ইত্যাদি রয়েছে যা পৃথিবীর সকল সভ্য দেশেই স্বীকৃত থাকায় দণ্ডনীয়। এছাড়াও, মদ্যপানকোকেনহেরোইনগাজা সেবন, নিষিদ্ধ প্রাণীর মাংস খাওয়াসহ সমাজের বিরুদ্ধ কার্যাবলী সম্পাদন করা অপরাধের আওতাভূক্ত।

Contact Form

Name

Email *

Message *